শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: মেহেন্দীগঞ্জে ধর্ষন মামলার আসামীরা ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্বে ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার পরিপ্রেক্ষিত মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা করা হলেও সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যরা ক্ষ্যান্ত হয়নি বলে জানান মেহেন্দিগঞ্জ আলিমাবাদ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আ: রব তালুকদারের পুত্র শহিদুল ইসলাম তালুকদার।
মামলার এজাহার বাদী শহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বখাটে সেলিম সরদার ও রাকিব হোসেন তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে সামিয়া (ছদ্বনাম) কে অপহরন করলে আমি আসামীদের বিরুদ্বে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় ১৯/০৮/২০১৯ তারিখ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করলে (মামলা নং- ১৪) আসামী রাকিবের কাছ থেকে উদ্বার করে আমার কাছে ফিরিয়ে দেয়।
আসামী রাকিব জেল থেকে জামিন পেয়ে ফের সেলিম সরদার কে সাথে নিয়ে আমার মেয়েকে জোর পূর্বক অপহরন করে আসামী রাকিব আমার মেয়েকে একাদিকবার ধর্ষন করে। থানা পুলিশ ফের আমার মেয়েকে রাকিব ও সেলিমের হাত থেকে উদ্বার করে এবং আসামীদের আটক করে।
পরবর্তিতে ধর্ষক রাকিব ও সেলিম সহ ৯জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করলে আসামীর পরিবার পরিজন দলীয় সন্ত্রাসীদের কে সাথে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই ধাারাবাহিকতায় আমি ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারী গাগারিয়া বাজারের একটি হোটেলে আমার ভাইয়ের ছেলে তারিকুল ইসলাম তালুকদার ও সাদ্দাম তালুকদারকে নিয়ে নাস্তা খেয়ে বের হওয়া মাত্রই সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর অতকৃত ভাবে দারালো অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় বাবুল বয়াতী, হুমায়ূন বয়াতী, স্বপন বয়াতী, মামুন তালুকদার, রিয়াজ তালুকদার, আজিজুল হক মাঝি, বেল্লাল বেপারী, জাহাঙ্গীর শিকদার, সোহেল বয়াতী, বাদল বয়াতী, নিজাম বয়াতী, সাগর বয়াতী, জুবরাজ তালুকদার, ইমরান হোসেন মাঝি, সাহবুদ্দিন শিকদার, বিপ্লব মোল্লা, কালাম চৌকিদার, নুরুন্নবী ফকির, পান্নু ফকির রোকন খান, খোরশেদ বয়াতী, রাজ্জাক বয়াতী, রফিক খান, শাকিল সিকদার, ও নাসির উদ্দিন। এবং সাথে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
আমি এ বিষয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করি। মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম তালুকদারের অভিযোগ মামলায় কিছু আসামী জেলে থাকলেও বাকিরে প্রকাশ্যে বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবং তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে ভিবিন্ন সময় ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। তিনি দ্রুত প্রশাসনের কাছে বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।